রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৬:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
জয়রামপুরে চৌধুরীপাড়ার শফিকুল ইসলামকে অর্থ সহায়তা করেছেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান দিনব্যাপি নানান কর্মসূচীর মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২১ জাতীয় দিবস উদযাপন করলো চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ দামুড়হুদার জয়রামপুরে অবৈধভাবে ফসলী জমি কেটে মাটি উত্তোলনের অপরাধে নজরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন দামুড়হুদায় “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ”ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে দর্শনা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস- ২০২১ উপলক্ষে নেত্র‌কোণা জেলা পুলিশের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন চুয়াডাঙ্গায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

বাড়ির মালিকের পেট্রোলে দগ্ধ কুষ্টিয়ার সেই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু মারা গেছেন

Reporter Name / ৯৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেই পেট্রোলদগ্ধ নারীটি
সন্তান জন্ম দিয়েই মারা গেলেন। শুক্রবার (৮ মে) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে নারীটি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তবে সন্তানটিও ছিল মৃত। জুলেখা (৩৫) নামের ঐ নারীটি স্বামীসহ শহরের কমলাপুর
এলাকায় নবীন প্রামানিক স্কুল সংলগ্ন ফজলুল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার স্বামী মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া সেন্টার এলাকার মেহেদী হাসান। ঘটনাটি ঘটে ২৮ এপ্রিল। সকালের দিকে জুলেখা তার বাড়ির বাইরে পাশের দুইজন মহিলার সাথে কথা বলছিলো। এমন অবস্থায় হঠাৎ করে বাড়ির মালিকের বড় ছেলে রোকনুজ্জামান রনি ঐ নারীটির শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। জুলেখার আর্তচিৎকার শুনে অন্যরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে রের্ফাড করা হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার সরকার জানিয়েছিলেন জুলেখার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি জায়গা পুড়ে যায়। তাৎক্ষণিক অর্থের যোগান না হওয়ায় যখন ঝুলে যায় নারীটির চিকিৎসা। ঠিক তখন এগিয়ে আসেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত। তার নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তত্ত্বাবধানে কুষ্টিয়া মডেল থানা ওসিসহ অন্যান্য অফিসাররা সবাই টাকা তুলে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাকে ঢাকামেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং চিকিৎসার জন্য কিছু নগদ অর্থের ব্যবস্থা করে দেন পুলিশ
সদস্যবৃন্দ। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ রনিকে আটক করে। মডেল
থানায় মামলা হয়। ঢাকায় চিকিৎসার এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) জুলেখাকে কুষ্টিয়ায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে
নারীটি মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে আজ তার মৃত্যু হয়। ওসি গোলাম মোস্তফা জানান ভাড়া বকেয়ার কারণে জুলেখার সাথে বাড়ির মালিকের স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রনির সাথে ঐ নারীটির হাতাহাতিও হয়। রনি ক্ষিপ্ত হয়ে অঘটনটি ঘটায়। সন্ধ্যায় ওসি গেলাম মোস্তফা জানান অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর