সুব্রত ঘোষ, বিশেষ প্রতিনিধি, বগুড়াঃ বগুড়ার গ্রাম বাংলার মাঠে মাঠে এখন সোনালী ধানের সমারোহ। গ্রীষ্মের দাবদাহে মাঝে মাঝে দমকা হিমেল হাওয়ায় সেনালী ধানের শীষগুলো দোল খাচ্ছে অবিরত। মাঠে মাঠে সোনালী ধানের শীষে প্রকৃতি সেঁজেছে অপুরূপ সাঁজে। কৃষি প্রধান দেশে চাল উৎপাদনের প্রধান উৎস হলো ইরি-বোরো চাষ। আবাহওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বগুড়ায় ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা ভাইরাসের মহামারী বিশ্ব যখন খাদ্যে সংকটের সম্ভাবনায় রয়েছে, ঠিক তখনি বাংলার কৃষকের আশার আলো জাগাচ্ছে ইরি-বোরো ধানের অবরিত সোনালী ধানের শীষগুলো। বগুড়ায় গ্রামে গ্রামে ধান কাটার শুরুর করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আবাহওয়া অনুকুলে থাকলেই খুব শীঘ্রই শুরু হবে ধান কাটার লড়াই। সুষ্ঠ ভাবে ধান কাটা শেষ হলেই এবার জেলার ইরি-বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে বগুড়ার কৃষি বিভাগ ধারনা করছে। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলায় এবার ১লাখ ৮৮ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেশী।
সুত্র জানায়, এবার বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছিল ১০ হাজার ৪শ ১০ হেক্টর জমিতে। এদিকে বগুড়া জেলায় এবার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে ৭লাখ ৭৪ হাজার ৬শ ৮০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। মাঠে মাঠে এখন পাকা ধানের সোনালী রূপে ভরে আছে কৃষকের হাসি। আবাহওয়া অনুকুলে থাকলে এবারের ইরি-বোরো ধানের হলুদ মাঠ জানান দিচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও উৎপাদন হবে বেশী। গাবতলীর জামির বাড়ীয়া গ্রামের কৃষক রন্জু মিয়া জানান, প্রতি বছরের চেয়ে এবার ধানের ফলন ভালো হবে। সময় মতো সার ও কীঠ নাশক প্রয়োগ করায় ফসল খুব ভালো হয়েছে। ঝড় বৃষ্টি না হলে এবং আবাহওয়া ভালো থাকলে ধান ভালভাবে ঘরে তোলা সম্ভব। বগুড়া সদরের শেখের কোলা গ্রামের কৃষক আব্বাস আকন্দ জানান, এবার ধানের আবাদ খুব ভাল হয়েছে। কৃষি বিভাগের লোকজন নিয়োমিত মাঠ পরিদর্শন করে খুব ভালো পরার্মশ দিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কমকর্তা ফরিদুর রহমান জানান,বগুড়ার মাঠে মাঠে এবার বেশীর ভাগ জমিতে উচ্চ ফলন শীল জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। তাই এবার সব জায়গায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।