দিদারুল ইসলাম,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে গরুর খাবার নেপিয়ার ঘাস তছরুপ করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় দুগ্রুপের ৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত মুক্তার সর্দারের ছেলে প্রবাসী মানিক জানায়, কিছুদিন হলো সে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে। এবং তার বাড়িতে গরুর ফার্ম করে জীবিকা নির্বাহের পরিকল্পনা মোতাবেক বাড়ির অদুরে একটি বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে নেপিয়ার ঘাস চাষ করছে গরুর খাবারের জন্য। তার পার্শ্ববর্তী পরিবারের সদস্যরা উল্লেখিত ঘাস প্রায়শই তছরুপ করে। তেমনি ঘটনার আগের দিন তারা ঘাসের জমিতে এসে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে অনেক ঘাসের ক্ষতি করে। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের প্রতিবেশী হাছেন মোল্লার ছেলে খয়বারের সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়। গতকাল ৪ মে সকালে মানিক ঘুম থেকে উঠে ঘাসের জমির উপর গিয়ে দেখতে পায় রাতের আঁধারে প্রচুর পরিমাণে ঘাস কেটে ফেলে রাখার। বিষয়টি দেখে সে নিজেকে স্থীর রাখতে না পেরে গালিগালাজ শুরু করে। এসময় খয়বার বাঁশ হাতে নিয়ে এসে তার সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বাঁশ দিয়ে বাড়ি মারলে মানিক তার হাতে থাকা শাবল দিয়ে বাড়ি দিলে খয়বারের কান কেটে যায়। এসময় খয়বারের চিতকারে তার পরিবারের হয়দার সর্দার, জয়দার সর্দার, খবির উভয় পিতা হাছেন মোল্লা, হৃদয় পিতা খয়বার,সাগড় ও বিপুল উভয় পিতা আমিরুল, আইয়ুব পিতা লপরা, সোহেল পিতা আইয়ুব, সজিব ও এনামূল পিতা খবির দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে মানিকের উপর হামলা করে এসময় মানিক প্রাণ ভয়ে দৌড়ে বাড়িতে এসে বাঁচার তাগিদে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে আক্রমণকারীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারপিট ও ভাংচুর চালাতে থাকে। মানিকের ঘরের নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার লুটপাট ও টিভি, ফ্রীজ , মটরসাইকেল, ফার্নিচার ভাংচুর সহ প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। এসময় মানিকের মা লায়লা আক্তার ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে আক্রমনকারীরা তাকে বটি দিয়ে কোপ দিলে মাথা সহ কপালে গভীরভাবে ক্ষত হয় এবং হাত কব্জি থেকে ভেঙে যায়। মানিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয় ও মাথা ফেটে যায়। এবং আক্রমণকারীদের খয়বার সর্দার ও হয়দার সর্দার আহত হয় বলে জানা যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী মানিক ও তার মাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তার মাথায় সেলাই দেয়া হয় ও তার মায়ের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে মানিক ও প্রতিপক্ষের দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মুজিবর রহমান তাৎক্ষণিক থানা পুলিশকে লুটপাট ও ভাংচুরের স্থান পরিদর্শনের জন্য পাঠান। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।