জাহাঙ্গীর আলম মানকি,দামুড়হুদা প্রতিবেদকঃ দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর তারানিপুরের শফীর মেয়ে রাবিয়া প্রথম বিয়ে হয় জয়রামপুরে এবং দ্বিতীয় বিয়ে দেয় রাবিয়া চুয়াডাঙ্গা সদরের ভিতরে উক্ত গ্রামে বিয়ে হয় গত ৮ মাস আগে মৃত পুটের ছেলে জিনারুলের সাথে বিয়ের পর থেকে ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন চলার এক পর্যায়ে সাংসারিক বিষয় নিয়ে দুইজনের ভিতরে শুরু হয় মনোমালিন্য এমনই এক সময় ঘটে সংসারের ইতি গত কয়েক দিন আগে রাতে খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এরই এক পর্যায়ে রিজিয়া তার বাবাকে ফোন দেয় বলে আমাকে তাড়াতাড়ি দিয়ে চলো না হলে আমি গলায় দড়ি দেবো নাহলে বিষ খাবো নিজের বাবা শফি পরেরদিন সকালবেলায় মেয়েকে নিয়ে আনতে উক্ত গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে যায় রাবিয়ার স্বামী ও শাশুড়ির কারো কথা না শুনে জোর করে মেয়েকে নিয়ে চলে আসে তার নিজের বাড়িতে এদিকে আরো জানা যায় স্বামীর জেনারুল চাকরি করেন ঢাকাই একটি মাদ্রাসায় স্বামী বাড়িতে না থাকায় পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রাবিয়া এবং রাবিয়ার পরিবারের লোকজন ও সব কিছুই জানতো আরো জানা যায় রাবিয়ার বড় দুলাভাইয়ের খালাতো ভাইয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে যায় এরই এক পর্যায়ে শফি তার মেয়েকে নিয়ে বাড়ি আসার পরে পরকীয়া প্রেমিক ইসরাফিল কে ফোন দিয়ে আসতে বলে তাদের বাসায় আসার এক পর্যায়ে তার সাথে বিবাহ দিয়ে তার সাথে পাঠিয়ে দেন আলমডাঙ্গায় এদিকে শফিকুলের জামাই জিনারুলের বাড়ি থেকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয় মেয়েকে কবে নিয়ে আসতে যাবে জিনারুলের শ্বশুর বলে দশ দিন পরে মেয়েকে নিতে আসবা।এরই সপ্তাহখানেক পরে জিনারুল তার বউকে নিতে তার মাকে পাঠান জিনারুল এর মা যাবার পরে দেখতে পান তার বিটার বউ বাড়িতে নাই পরে তার বিয়াই শফির জিজ্ঞেস করেন মেয়ে কোথায় শফি বলেন মেয়ে কোথায় জানিনা এদিকে তারানিপুরের লোকজন বলেন মেয়েকে অন্য আরেক জায়গায় বিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে এই কথা শুনে। জিনারুল এর মা নিজের বাড়িতে চলে আসেন এদিকে শফির জামাই জিনারুল বলেন আমার কাছে তালাক না নিয়ে কিভাবে অন্য আরেক জায়গায় বিয়ে দেয় তার বাবা এদিকে সাংবাদিকরা জানাজানি হলে ছুটে যান মেয়ের বাড়িতে মেয়ের বাবা শফির কাছে ঘটনা জানতে চাওয়া হলে সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং হুমকি-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় এবং আরো বলে আমার মেয়ে বাড়িতে নেই আমার মেয়ে বেরিয়ে গেছে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই সে কোথায় আছে আমি জানিনা। শফির স্ত্রী বলেন যে আমার বড়ো মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছে আলমডাঙ্গায় কিন্তু আলমডাঙ্গায় মোবাইল করলে জানা যায় যে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যাইনি আলমডাঙ্গায় পরকীয়া বিয়ে দিয়েছে শফি। আমাদের সমাজ এখন কোথায় এক স্বামীর বাড়ি থেকে মেয়েকে বাবা কিভাবে তুলে পরকীয়া স্বামীর হাতে তুলে দেন ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ সম্পন্ন না। যে বিয়ে করেছে সে হারাম বিয়ে করছে ঐ মেয়ের হাতে যে খাবে সবকিছুই হারাম খাবে। এবং বিষয়টি প্রসাশনের দৃষ্টিগোচর করা হলো