লিটন মাহমুদ, মেহেরপুর প্রতিবেদকঃ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া নতুন পাড়া জামে মসজিদের ঈমামকে
খাওয়ানোর জন্য ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় দু’জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন বেতবাড়িয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত পঞ্চায়েত সর্দারের ছেলে তাইজেল হোসেন (৫০)ও মৃত পাচু মন্ডলের ছেলে সোলাইমান হোসেন (৪০)। রোববার দিবাগত সন্ধ্যা রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ
সূত্রে জানা গেছে,বেতবাড়িয়া নতুন পাড়া জামে মসজিদের তারাবি নামাজ পড়ানোর জন্য ঈমাম নিয়োগ রয়েছে। মাস ব্যাপি ঈমামের ইফতার ও সেহরি খাওয়ার দায়িত্ব দেয়ার জন্য মুসল্লিদের তালিকা তৈরী করা। তালিকা অনুযায়ী মুসল্লি তাইজেলকে ঈমামের জন্য এক রাত খাওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। তাইজেল গরীব ও অসহায় হওয়ায় ঈমামের ইফতার ও সেহরি খাওয়ানোর জন্য দায়িত্ব নিতে,অপরাগত প্রকাশ করেন। পরে মুসল্লি মিল্লালকে এক রাত খাওয়ার দায়িত্ব
দেয়ার লক্ষে প্রথম সিরিয়ালে নাম উল্লেখ করেন উপস্থিত মুসল্লিরা। মিল্লাল তার নাম সিরিয়ালের প্রথম দিকে না দেয়ার জন্য জানান। এনিয়ে একই মহল্লার শিলন আলী মিল্লালের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে শিলন তার
লোকজন নিয়ে মিল্লালের পক্ষের তাইজেলকে হামলা করেন। এসময় সোলাইমান প্রতিবাদ করলে,তাকে হামলা করা হয়। ওই হামলায় দু’জন রক্তাক্ত জখম হন।এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সোলাইমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।মসজিদের সহকারী কোষাধ্যক্ষ নাসির উদ্দীন জানান মসজিদের ঈমামের খাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। এ
সময় তালিকার সিরিয়াল নিয়ে মিল্লাল ও শিপন আলীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় শিপন আলীর লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে মিল্লালের পক্ষের তাইজেল ও সোলাইমানকে হামলা করেন। মসজিদ কমিটির সদস্য আলী হোসেন জানান ঈমামের খাওয়ার বিষয়ে তর্কাতর্কি করার এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় আহতের পরিবার। এব্যাপারে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।