ষ্টাফ রিপোর্টার:জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মিশনপাড়ার লোকাস মন্ডলের ছেলে বহুল আলোচিত মুকুল মন্ডলের বিরুদ্ধে এবার কার্পাসডাঙ্গা কলেজ পার হয়ে বালিগর্ত নামক স্থানের কাছে ভৈরব নদীর মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।গোপন সুত্রে জানা গেছে মুকুল প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রি করছে। মুকুলের বিরুদ্ধে ভৈরব নদীর মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ পেয়ে আমাদের এ প্রতিবেদক গোপন অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসে মুকুলের বিরুদ্ধে নানান রকম চাঞ্চল্যকর তথ্য।মুকুল ক্ষমতাসীন দল করায় তার বিরুদ্ধে গ্রামে কেউ টু শব্দ করার সাহস পায়না।সে নিজেকে খুবই ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী ব্যাক্তি মনে করে।পাড়ায় নানা রকমের ঝামেলা বাঁধাতে তাঁর জুড়ি নেই।মিশন পাড়ায় কোন রকম অশান্তি গন্ডগোল হলেই তার পিছনে বেরিয়ে আসে মুকুলের নাম। মুকুল মিশনপাড়ায় একজনের বাড়িতে এক ছেলেকে আটকে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে তার কাছে হাতিয়ে নেই মোটা অংকের টাকা।এই মুকুল ইতিপূর্বে তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর দুলাভাই তার ও স্ত্রীকে বেদম প্রহার করে পুলিশের হাতে আটক হয়। বাঘাডাঙ্গা গ্রামের গ্রাম পুলিশ হারাধন সরকারকে ইতিপূর্বে লাঞ্চিতের পিছনেও তার হাত ছিলো বলে গোপন সুত্রে জানা গেছে।বহুল আলোচিত মুকুল এবার ভৈরব নদীর মাটি বিক্রি করে আবারো তার ক্ষমতার প্রমান দিলো সাধারন মানুষের কাছে।সম্পত্তি নিজের হলেও যেখানে মাটি,বালি ও জমিতে থাকা কোন মূল্যবান সম্পত্তি যখন সরকারের সেখানে কি করে মুকুল ভৈরব নদীর মাটি বিক্রি করছে।নাম না প্রকাশ করার শর্তে সচেতন মহলের অনেকে বলেন জমির মালিকানা থাকলেও কি মাটি বিক্রি করার কি কোন আইনগত বৈধতা আছে।এ বিষয়ে জানতে মুকুলের সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি জানান জমিটি তাদের সহ তাদের বংশের লোকজনের। ভৈরবনদীর সরকারী সম্পত্তি না।তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকে বলেন জমিটি সরকারের কাছে লিজ নেওয়া বলে শুনেছি। তাই তদন্ত পূর্বক ভূমিদস্যু মুকুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা সহ তার বিরুদ্ধে সরকারী সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।