শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০২:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
ঝিনাইদহে আনারসের ট্রাকে থেকে সাড়ে সাত কেজি গাঁজাসহ দুইজন আটক আলমডাঙ্গার সর্বজন শ্রদেহ ব‍্যাক্তিত্ব মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমানের ইন্তেকাল। নিজ গ্রাম যাদবপুরে দাফন সম্পন্ন কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘরিয়াশ গৃহবধুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা সাজেদুল আউয়াল আর নেই শতবর্ষী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ-গর্ভপাত গৌরীপুরে স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে মাস্ক ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ ট্যাংকলরি-টেম্পো সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ যুবকের মাঠে প্রশাসন, রাস্তায় জনগণ পরকীয়ার জেরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা

চুয়াডাঙ্গায় বলাৎকারের পর ‘ছেলেধরা’ গুজব বলে চালিয়ে দেন মাদ্রাসার সুপার

Reporter Name / ৪০১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০২:০৭ অপরাহ্ন

শিমুল রেজা,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসা ছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার রহস্যের সমাধানের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার দেখানো হয়েছে শিশুটি যে মাদ্রাসায় পড়ত তার সুপারকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আরও চার শিক্ষককে। পুলিশ জানায়, শিশুটিকে বলাৎকারের পর হত্যা করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া গুজবের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন মাদ্রাসা সুপার মুফতি আবু হানিফ।

শুক্রবার বিকালে গ্রেপ্তার দেখানো হয় হানিফকে। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার থেকেই তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, বলাৎকারের ঘটনা যাতে ফাঁস না হয় এজন্যই শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। আর ঘটনাটি ভিন্নখাতে দেওয়ার জন্যই সুকৌশলে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়। যাতে একে ‘ছেলেধরা’ গুজব বলে চালিয়ে দেয়া হয়। গত চার দিনে আমরা চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি নিয়ে খুব সর্তকতার সাথে তদন্ত করেছি। কারণ মামলাটি ছিল খুবই স্পর্শকাতর। মাদ্রাসা সুপার আবু হানিফ জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। ২০১৩ সালে দামুড়হুদাতে পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি ছিলেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান,মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে কিছুদিন ধরে বলৎকার করে আসছিলেন মাদ্রাসা সুপার আবু হানিফ। বিষয়টি ওই ছাত্র অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।মাদ্রাসার অদূরে একটি আম বাগানে নিয়ে গলাটিপে খুন করা হয় শিশুটিকে। এরপর হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা শরীর থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে বলে ছড়িয়ে পড়া গুজবকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন মাদ্রাসা সুপার। ভেবেছিলেন তিনি শিশুটির মাথা আলাদা করলে সবাই একে অন্য ঘটনা হিসেবে ধরে নেবে। আর তিনি পার পেয়ে যাবেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরদিন সকালে মাদ্রাসার অদূরে একটি আম বাগানের ভেতর থেকে তার মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর পরই গোটা এলাকায় সাম্প্রতিক ছেলে ধরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দিনই আবু হানিফসহ পাঁচ শিক্ষককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। আর ছেলেটির মাথা খুঁজে বের করতে পুলিশের এই অভিযানে যোগ দেয় ঢাকা থেকে যাওয়া র্যাবের ডগ স্কোয়াডের একটি দল। বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার অদূরে একটি পুকুর থেকে শিশুটির মাথা উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর