পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, বলাৎকারের ঘটনা যাতে ফাঁস না হয় এ জন্যই আবিরকে পরিকল্পিতভাবে গলাটিপে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যই সুকৌশলে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়। যাতে করে খুব সহজেই ঘটনাটি‘ছেলেধরা’ গুজবে চালিয়ে দেওয়া যায়। গত চার দিন ধরে আমরা চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি নিয়ে খুব সর্তকতার সঙ্গে তদন্ত করেছি বলেও জানান জেলা পুলিশের এ সর্বোচ্চ কর্মকর্তা।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি বলেন, ‘মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবিরকে বেশ কিছুদিন ধরে বলাৎকার করে আসছিল মাদরাসার মুহতামিম আবু হানিফ। বিষয়টি অন্যদের জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে আবিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদ্রাসা থেকে কিছুটা দূরে একটি আম বাগানে নিয়ে আবিরকে গলা টিপে হত্যা করেন হানিফ।গত চার দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের পর মুহতামিম আবু হানিফকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি ৪ শিক্ষককে এখনও হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।