মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের বাজারগুলোতে এক লাফে শসা ও বেগুনের
দাম বেড়ে আড়াই গুণ বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রমজানের শুরুতে মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারে শসার কেজি ৫০ টাকা আর বেগুনের কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের বাজার দামের তুলনায় আড়াই গুণ। রমজানের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছেন। সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং করা হলে এসব জিনিসের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসবে বলে মনে করেন ক্রেতা সাধারণ। সবজি উৎপাদন খ্যাত জেলা মেহেরপুর। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এ জেলার উৎপাদিত সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ জেলার উৎপাদিত সবজি আগের মতো দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ হচ্ছে না। তারপরও রমজানে মেহেরপুরের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি সবজির দাম এক লাফে আড়াই গুণ হওয়াটা সঠিক বলে মনে করছেন না ক্রেতা সাধারণ। ব্যাংক কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে ইফতারিতে
বেগুন ও শসা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রত্যেক রোজাদারের কাছে প্রিয় হওয়ায় বেগুন ও শসার দাম বেশি হলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে এসব সবজি বেচা-কেনা হলে উভয় লাভবান হতেন। সঙ্গে ক্রেতারাও স্বস্তি পেতেন।
মেহেরপুর হোটেল বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আমজাদ বলেন, আমরা এক সপ্তাহে আগে ২০ টাকা কেজি দরে শসা ও ৩০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করেছি। এখন পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে বেশি দামে কিনছি বিধায় সামান্য লাভ রেখে শসা ৫০ টাকা ও বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করছি।
মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের কৃষক রমিজ বলেন, এ বছর মাঠে প্রচুর পরিমাণ শসা ও বেগুনের আবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রচুর পরিমাণ শসা উৎপন্ন হলেও গত সপ্তাহে মাঠে পাইকার খুব কম আসত, আবার শসা খেত থেকে তুলে বাজারে নিলেও পাইকাররা বেশি দাম দিত না। এদিকে আবাদ বেশি হলেও বৃষ্টির কারণে বেগুনের ফলন কিছুটা কম ছিল। তারপরও আমরা আগের দামেই পাইকারদের কাছে বেগুন বিক্রি করছি। মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, মেহেরপুরের মাঠে এ বছর শসা ও বেগুন ভালো উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কৃষকের ফসলের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাদের মর্জির উপর নির্ভর করে কৃষকের উৎপাদিত ফসলে লাভ কিংবা ক্ষতি। মেহেরপুর জেলা ক্যাবের প্রেসিডেন্ট রফিকুল আলম বলেন, বিদেশে কোনো উৎসব এলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সুলভ করে দেয়া হয়। আমাদের দেশে জরুরি এ মুহূর্তেও খাদ্য শস্য পরিবহনে
কোনো কড়াকড়ি আইন করা হয়নি। তারপরও সবজি বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কিছু দ্রব্যের আকাশচুম্বী মূল্য সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তোলে। জরুরি বাজার মনিটরিং করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।