বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৫:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
‘টিকা নেওয়ার পর মনে করবেন না সব সমাধান হয়ে গেছে’ অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বের সাথে নিজ নিজ কর্তব্য পালনের নির্দেশ কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার। শাহবাগে বিক্ষোভ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থী আটক দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী আটক ৫ পিলখানা ট্র্যাজেডি: নিহতদের শ্রদ্ধায় স্মরণ দামুড়হুদা উপজেলায় গাছে গাছে ফুটেছে সজনে ফুল সাতক্ষীরায় ভ্রাম্যমান অভিযানে ১টি ইট ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দামুড়হুদা নতিপোতা ইউনিয়ন বিট পুলিশিং উদ্বোধন করেন দামুড়হুদা সার্কেল আবু রাসেল দর্শনা টু মুজিবনগর সড়কের উন্নয়ন কাজ কালভার্ট নির্মানে নেই কোন সতর্ক চিহ্ন:প্রতিদিন ঘটছে ছোটবড় দূর্ঘটনা কুড়ুলগাছিতে অগ্নিকান্ডে ঘরবাড়ি ভস্মিভূত:নগদ টাকা সহ আসবাব পত্র পুড়ে ছাই:ফায়ার সার্ভিসের হস্তক্ষেপে আগুন নিয়ন্ত্রনে

সবাইকে বলে দেব তোমার কষ্ট গুলো!

Reporter Name / ১২৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৫:০০ অপরাহ্ন

লাইফ স্টাইফ,জাগো দেশ, ডেস্কঃ আর পারছি না সবাই কে না বলে।মনে আছে তোমার? তোমাকে কথা দিয়েছিলাম বলবো না তোমার কষ্ট গুলো কাউকে।তুমিও আমাকে পুরোপুরি অন্ধ বিশ্বাস করে বলেছিলে তোমার সব কষ্টের কথা।ভেবেছিলে সবাই তোমার সাথে বেঈমানি করলেও আমি বোধহয় করবোনা। তাইতো সব বলেছিলে। সব কষ্ট গুলো আমাকে শেয়ার করেছিলে । আমিও দীর্ঘদিন ধরে তোমার বলা কষ্টের কথা গুলো বুকে ধারন করে, প্রচন্ড কষ্টে দিনপার করছি।আর পারছি না তোমার কষ্টের কথা গুলো কাউকে না বলে থাকতে।সবার মত আমাকেও না হয় বেঈমান মনে করো।তাতেও আমার দু:খ নেই।ভেবে নিও কেউ তোমার কথা রাখেনি। সবাই তোমাকে দেওয়া কথা ভুলে গিয়ে তোমার সাথে বেঈমানি করেছে। আমিও আজকে তোমার না দেখা, বেঈমান মানুষদের কথাও তোমাকে বলে দেব। যারা তোমাকে বলেছিলো সারাজীবন তোমার পাশে থাকবে।সুখে,দু:খে তোমাকে ছেড়ে যাবেনা।তারাও কতটা বেঈমানি করেছে তোমার সাথে সেটাও আমি জানি। তাই আজ সব বলে দেব। সব সব, সব বলে দেব।মনে আছে তোমার, তোমার কত বন্ধু ছিলো। যাদের সাথে সব সময় থাকতে। বিভিন্ন সময়ে আড্ডা দিতে, যাদের এক আধ ঘন্টা না দেখলে বা তারাও না দেখলে তোমাকে ফোন দিয়ে ডাকতো এই কোথায় আছিস দেখা কর।ভালো লাগছেনা। তোমার মনে আছে,যেদিন তোমার স্ত্রী ও এ বিষয়টা নিয়ে প্রতিদিন ঝগড়া করতো আর বলতো তুমি সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করো আর আমাকে সময় দাওনা। জানোনা তোমাকে ছাড়া আমি এক মুর্হুর্ত থাকতে পারিনা।মনে আছে তোমার,সেদিন তোমার সন্তান এই সেদিন কি যেন ফোনে বলছিলো। ওহ হ্যাঁ তুমিই তো বললে জানিস আমি বাড়ি না গেলে আমার সন্তানরা শান্তি পাইনা।আমাকে এক মুর্হুর্ত না দেখে থাকতে পারেনা।তোমার বৃদ্ধা বাবা মাও নাকি তোমার খোঁজে ব্যাস্থ। তারাও নাকি বলে আমার সন্তানের মঙ্গল করো খোদা। সব সময় তোমার জন্য দোয়া করে।তুমি যেদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে সেদিন কি হয়েছিলো জানো।জানো নাতো? তা জানবে কেন! সারাদিন তো বন্ধু, বান্ধব,সন্তান,বাবা,মা,পরিবার পরিজনকে নিয়েই ভেবেছো। তো নিজের খবর রাখার তোমার সময় কোথায়।শোন তবে কি হয়েছিল।তুমি যেদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছিলে। সেদিন তোমার চলে যাবার খবর শুনে ভয়ে তোমার কাছে কেউ আসেনি।তোমার স্ত্রী,সন্তান,পিতা,মাতা কাউকেও আসতে দেওয়া হয়নি তোমার কাছে। কারন টা তোমার জানতে ইচ্ছে করেনা। কেন তাঁদের আসতে দেওয়া হয়নি। কারন আর কিছু নই, তোমার শরীরে করোনার উপসর্গ ছিলো।না জানি তুমি মরে গিয়েও আরো কাউকে আক্রান্ত করে বসো।তুমিও ভেবেছিলে আমি তো মরেই গেলাম অন্তত মা,বাবা,স্ত্রী,সন্তান,পাড়া, প্রতিবেশী সবাই ভালো থাকুক।তুমি কি জানো কতজন তোমার মৃত্যুর পরও তোমাকে গালি দিয়েছিলো। বলেছিলো শালা মরে গেলো কিন্তু মরার আগে তো আমাদের সাথে মিশেছে,বসেছে না জানি আমরাও আক্রান্ত কিনা।তোমার জন্য কত বাড়ি লকডাউন করেছে সেটা তুমি জানোনা।এবার যদি আরো বলি তবে তো অবাক হয়ে যাবে। তোমার মৃত্যুর পরে তো অনেক আলেমই অস্বীকার করেছে তোমার দাফন কাজে সাহায্য করতে। ভয় পেয়েছে কারন তুমি তো মৃত্যুর পরও অনেক শক্তিশালী। অনেক কেই মেরে ফেলতো পারো। সেই ভয়ে তোমার কাছেই তো কেউ ভীড়তে চাইনি।কতজনের জানাযায় তুমি গেছো কতজনের কবরে মাটি দিয়েছো। সেই তোমার জানাযাতেই মাত্র কয়েকজন ব্যাক্তি,কয়েকজন মিলেই তোমার দাফন কার্য্য সম্পন্ন করেছে।এবার তোমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে না। যে তোমার এত আত্মীয় স্বজন,স্ত্রীর আত্মীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশী এত তবে কেন তোমার জানাযায় আসেনি,কেন তোমার দাফন কার্যে শরিক হয়নি।কি অন্যায় করেছিলে তুমি?তোমার অন্যায় টা আমি বলছি, তোমার কোন অন্যায় ছিলোনা একটাই অন্যায় ছিলো তুমি করোনার উপসর্গ নিয়ে মরেছিলে।এবার বলছো তোমার সেই বন্ধু কারা যারা তোমাকে জানাযা পড়িয়ে দাফনের ব্যাবস্থা করেছিলো। কি বলবো বলো।শোন তবে, তারা কারা ছিলো।যাদের কাছে যেতে তুমি সব সময় অপারগতা প্রকাশ করতে আর বলতে পুলিশ দেখলে ভয় লাগে, কেন অযথা প্রশাসনের মানুষের কাছে যাবো। সেই তোমার ভয় লাগার অনীহার বন্ধু গুলোই তোমার জানাযা ও দাফনের ব্যাবস্থা করেছে।তোমার লাশ কাঁধে নিয়েছে। সুন্দর করে দাফন করিয়েছে।কি হলো কাঁদছো কেন।এই তো এজন্যই আমি বলতে চাচ্ছিলাম না তোমাকে সত্যি কথা গুলো।তোমার অগোচরে যা হচ্ছিল সেটাই ভালো ছিলো।তবুও মন বাধ মানলো না তাই সব বলে দিলাম।জানি তুমি কষ্ট পাচ্ছো তোমার শেষ বিদায়েও তোমাকে কেউ দেখতে আসেনি বলে,তোমার প্রিয় মানুষ গুলো তোমার শেষ গোসলে এগিয়ে আসেনি বলে,তোমার নিথর দেহটা কাঁধে করে কবরে নিয়ে আসেনি বলে,তোমার জানাযায় শরিক হয়নি বলে,তোমার কবরে শেষ মাটি টুকুও দেয়নি বলে। তাইতো আমি আরো একবার তোমার চোখে বেঈমান হয়ে তোমাকে দেওয়া কথা না রেখে সবাইকে বলে দিলাম তোমার কষ্ট গুলো।সব শেষ তোমার বেহেশত কামনা করে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আরো একবার পরিত্রান চাই এ ভাইরাস থেকে।

লেখক:

সুযোগ্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান মিলন: কলামিস্ট


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর