বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটকে করোনামুক্ত রাখতে জরুরি সেবা ব্যতীত সব ধরণের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ
নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ কয়েকটি
জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় ওইসব জেলায় কর্মরত লোকজন অন্যত্র (নিজ নিজ জেলায় অথবা অন্য জেলায়) প্রবেশের চেষ্টা করছেন। এর
পরিপ্রেক্ষিতে বাগেরহাট জেলাবাসীকে করোনামুক্ত রাখতে ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাগেরহাট জেলার সঙ্গে সব সীমান্ত ও আন্তঃ উপজেলা সীমান্তসমূহে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ব্যতীত সব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোগীবাহী গাড়ি, ওষুধ সরবরাহ গাড়ি, পণ্যবাহী গাড়ি, কৃষিপণ্য ও সব ধরণের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালবাহী গাড়ি, সরকারি গাড়ি ব্যতীত সব যন্ত্রচালিত গাড়ি এই
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
এর বাইরেও করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মানুষকে ঘরে রাখতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসন। সচেতনতামূলক প্রচারণা,
ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় যাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সরকারি ও
বেসরকারিভাবে কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। তারপরও মানুষ ঘরে থাকছে না। জেলাবাসীকে ঘরবন্দি রাখতে কঠোর
হচ্ছে প্রশাসন। গত ১০ দিনে এই জেলায় সামাজিক দুরত্ব না মানায় প্রায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গুরুত্বর রোগী ছাড়া হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে নিষেধ করাসহ মুঠোফোনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিমও করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ সাংবাদিকে বলেন, গত এক মাসে এই জেলায় কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এটা আমাদের জন্য সুসংবাদ। এই অবস্থা ধরে রাখতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। জেলায় ঢোকার মূল প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আমরা যদি সব মানুষকে ঘরবন্দি রাখতে পারি তাহলে করোনা
ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রেহাই মিলবে।