করোনা ভাইরাস এ নামটির সাথে পৃথিবীর ছোটবড় সকলে পরিচিত।বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের চাইতে ও অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে গুজব ভাইরাস।আর এই গুজব ভাইরাসের নিয়ন্ত্রন ও প্রতিষেধক আবিস্কার এখনই প্রয়োজন। অতিমাত্রায় গুজব ভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়লে তা মহামারী আকার ধারন করে দেশটাকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাবে। পাঠক বৃন্দ করোনা ভাইরাসের নাম শুনলেও গুজব ভাইরাসের নাম হয়তো প্রথম শুনছেন। এটা বাংলাদেশে আমিই প্রথম আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছি। গুজব যে একটি ভাইরাস এবং এটি করোনা ভাইরাসের চাইতেও শত হাজার গুন শক্তিশালী ও ভয়ংকর।চীনে যেমন ভয়ংকর করোনা ভাইরাস ঠিক তেমনি বাংলাদেশেও ভয়ংকর একটি ভাইরাস গুজব ভাইরাস।আর বাংলাদেশের এ গুজব ভাইরাস যদি করোন ভাইরাসের মত করে বিশ্বের প্রতিটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে তবে এ বিশ্ব ধ্বংস হতে আর সময় লাগবেনা।এদেশ বলবে ঐ দেশে পারমানবিক বোমা আছে তা অমুক দেশে ভোরে ফেলা হবে এ গুজবেই দেখা যাবে আরেক দেশ ভোরের আগেই সে দেশে পারমানবিক মেরে দেশটি ধ্বংস করে দিয়ে।তবে আশার দিক হলো গুজব ভাইরাস এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের ভিতরই সীমাবদ্ধ আছে ।গুজব যেমন একটি ভাইরাম তেমনি আরেকটি ভাইরাসের নাম করোনা ভাইরাস,জনমনে আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস,গুজবসৃষ্টি করে জনমনে ভীতি সৃষ্টিরও নাম করোনা ভাইরাস।করোনা ভাইসারের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে হলেও তার বর্তমান বিস্তৃত এলাকা অনেক।বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস।করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে কয়েকজনের আক্রান্তের খবর শোনা গেলেও তারা বর্তমানে সুস্থ বলে জানা গেছে।করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা উদ্বিগ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাকে মহামারী আকারে ঘোষনা দিয়েছেন বলেও মাঝে একটি পত্রিকাতে দেখলাম।করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার প্রথম থেকেই সতর্ক ও মোকাবিলার ঘোষনা দিয়ে আসছিলো।হঠাৎ করেই করোনার কারনে মুজিবশতবর্ষের অনুষ্ঠানে বিদেশীরা অতিথিরা আসছেন না বলে শোনা যায়।করোনার কারনে সরকারও মুজিববর্ষ পালনে অনুষ্ঠানমালার পূর্ন্যবিন্যাস করেন বলে জানা গেছে।সরকার আগে বলেছেন করোনার ঘোষনা দাও পরে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান।সরকার বাহাদুরের এমন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাই।করোনা ভাইরাস নিয়ে আমিও শঙ্কিত রয়েছি।বাংলায় একটা প্রবাদ আছে হুজুগে বাঙ্গালী গুজবে বাঙ্গালী।আমরা বাঙ্গালী যেমন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ত্রিশ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছি পাকিস্থানি হানাদার বাহিনির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে।আবার আমরা এই বাঙ্গালীরাই গুজবে পড়ে লাইনে দাড়িয়ে ফুঁ দেওয়া পানি পড়া নিই রোগের দাওয়ায় হিসাবে।করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা ইতিমধ্য লবন,পেঁয়াজের মত ব্যাবসা মনে করে মাস্কের দাম বাড়িয়েছি।তেমনি একটি চক্রও গুজব রটাতে ব্যাস্থ করোনা ভাইরাস নিয়ে।এমন একটা দেশে বসবাস করছি যেখানে সব দলের উচিৎ করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে কি করনীয়,কিভাবে এর প্রতিষেধক আবিস্কার করা যায়,কিভাবে এটা থেকে দূরে থাকা যায়,কিভাবে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে আনা যায় তার চেষ্টা করা।তা না করে আজকে একটি দল করোনা ভাইরাস নিয়েও রাজনীতি করছেন। বলছেন সরকারের এ দোষ সে দোষ।সরকারের যদি এত দোষ হয় তবে তারা তো আগাম ভালোটা করতে পারে। তারা তো এর প্রতিষেধক তৈরী করে সরকার কে দিতে পারে। তার গলা উঁচুয়ি বলতে পারে প্রিয় দেশবাসী আপনারা সবাই এ রোগে মারা যেতেন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী,এমপি,পুলিশ সব মারা যেতো। আমরা দেশের জনগনের বন্ধু। আমাদের দল দেশের ভালো চাই বলে এত কষ্ট করে প্রতিষেধক তৈরী করেছে আপনারা আমাদের ভোট দিন।কারন সব জায়গাতেই এখন রাজনীতি।কোন মানুষের জানাযায় যাবেন সেখানেও দেখবেন একশ্রেনীর রাজনীতিবিদ জানাযার নামাযে রাজনীতি করছেন।কত নিচে নেমে গেছে আমাদের দেশের রাজনীতি।আমার মনে হয় একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যেখানে ওষুধেও ভেজাল।নকল ওষুধ তৈরী হয় ভাবতে পারেন বিষয়টা।৪ টাকার ইনজেকশন ৮ শত টাকায় বিক্রি হয় সেটিও বাংলাদেশে।করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজনীতি না করে,গুজব না ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরী না করে কিভাবে এর থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। কিভাবে এর প্রতিষেধক তৈরী করা যায় সেটা ভাবুন।বিশ্বের দিকে না তাকিয়ে থেকে নিজেরা তৈরী করুন এর প্রতিষেধক বিশ্ব জানুক বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে দূর্বার গতিতে।শুধু একা সরকারের দোষ না দিয়ে নিজেরাও সচেতন হোন। সরকারের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সবাই সেগুলো মেনে চলুন।সব শেষ মহান রাব্বুল আলামিনের কাছ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করুন এসব ভাইরাস থেকে নিজেকে, পরিবারকে,দেশকে রক্ষা করতে।যে, যে দলই করুক, যে ধর্মের ই হোক সবার জন্য দোয়া করুন। আল্লাহ সকল ক্ষমতার অধিকারী তিনিই পারেন আমাদের এদেশ কে সকল বালামসিবত থেকে রক্ষা করতে।দেশের ক্রান্তিকালে সরকারের সমালোচনা না করে সরকারের পদক্ষেপকে সাহায্য করুন।বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের তেমন কোন প্রভাব পড়েনি এখনও।এটাকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। আসুন সকলে মিলে সরকারকে সাহায্য করে সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।কোন কিছু বলার আগে,ছড়ানোর আগে নিজে শতভাগ নিশ্চিত হই। তারপর বলি।একটা জিনিস মাথায় রাখবেন করোনার ভাইরাসের চাইতেও অধিক শক্তিশালী ভাইরাস গুজব ভাইরাস।করোনা মোকাবেলা করা গেলেও গুজব ভাইরাস মোকাবেলা করা কঠিন।মনে রাখবেন একটি গোষ্ঠি অনলাইন, ফেসবুকে তৎপর গুজব ছড়াতে।তারা বিভিন্ন ফেইক আইডি ব্যাবহার করে সুযোগ বুঝে গুজব ছড়িয়ে ফায়দা লুটতে চাই। সোনার বাংলাকে,জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাই।এসব গুজবকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্নের কিছু নেই।কিছু নিয়ম মেনে চলুন। পরিস্কার পরিছন্ন থাকুন।ভালো করে হাত ধুতে হবে।লোকসমাগম করা যাবেনা। কারো সাথে হ্যান্ডশেক থেকে বিরত থাকুন।সব শেষ করোনা ভাইরাস এর পাশাপাশি গুজব ভাইরাসকে নিজেরাই বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মোকাবিলা করুন
লেখক
মেহেদী হাসান মিলন
সাংবাদিক ও কলামিষ্ট