বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

দামুড়হুদায় ১০ ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে আটক

Reporter Name / ৫৪০ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রেম মানেনা ধর্ম, বর্ণ, জাত। বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবার ও সমাজ। তবে প্রেমকে সংসারে রূপ দিতে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে দুই প্রেমিক- প্রেমিকা। বাবা-মায়ের অনেক আদরের সন্তান হওয়ার সুবাদে শত- দুঃখ কষ্টের মাঝেও অভাব তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। যখন যা কিছু প্রয়োজন বলা মাত্র হাজির হয়ে যেত তার সামনে। প্রিয় এই সন্তানকে নিয়ে দুনিয়া জোড়া আশা ছিল অসহায় পিতা-মাতার। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি দিয়ে উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের প্রেমিক উজ্জালের হাত ধরে অজানা পথে পা বাড়িয়ে গত ৩ মার্চ সঙ্গবার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সুরাইয়া পরিবারে দাবি চন্দ্রবাস গ্রামের ইয়ানবি আলীর ছেলে মোঃ উজ্জাল আলী তার মেয়েকে অপহরণ করে গুম করে রেখেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের মোক্তারপুর গ্রামের মোস্তফা কামাল এর মেয়ে সুরাইয়া আক্তার ১০ ম শ্রেণীর ছাত্রী গত ৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ রয়েছে বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আশায় সুরাইয়া বাবা-মা চিন্তায় এদিক ও দিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাত্রি হয়ে গেলে বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে জানতে পারেন সুরাইয়া এখনো বাড়ি ফিরে আসেনি। নিকট আত্মীয়সহ সুরাইয়ার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে ফোন করে খুঁজ খবর নিয়ে কোথাও সন্ধান না পেয়ে চরম দুঃচিন্তায় পড়ে যান অসহায় বাবা-মা। ভোর হতে না হতেই কু-কথা বাতাসে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সুরাইয়া মা-বাবার সাথে কথা বললে জানা যায় আমার মেয়ে বুকের ধন সুরাইয়াকে নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি। ওরা আমার মেয়েকে গুম করে রেখেছে নাকি মেরে ফেলেছে কিছুই জানিনা।গতকাল ৪ মার্চ দামুড়হুদা মডেল থানায় চন্দ্রবাস মাঝ পাড়া গ্রামার ইয়ানবি আলীর ছেলে উজ্জাল আলীর নামে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এর জন্য লিখিত অভিযোগ দায়করি আরো বলেন কি অবস্থায় আছি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। কথা গুলো বলার সময় টপ-টপ করে অশ্রু ঝড়ছিল সুরাইয়া অসহায় বাবা-মায়ের চোখ দিয়ে।

অপর দিকে ঘটনার মুলহোতা প্রেমীক পুরুষ উজ্জাল আলীর বাবার সাথে সাংবাদিকরা কথা বলে জানা যায় অভাবের সংসারে অনেক দুঃখ কষ্ট করে সন্তানকে বড় করেছি। মত মানুষ হয়ে সংসারের হাল- ধরবে আমাদের মুখে হাঁসি ফুটাবে এমনটাই চাওয়া ছিল সন্তানের প্রতি কিন্তু এ বয়সে এসে এমন বদনাম অপবাধ সইতে হবে চিন্তাও করিনি। আমরা গরীব মানুষ। দু- বেলা দু-মুঠো ভাত ছাড়া অন্য কোন চাহিদা নেই আমাদের। আমরা শান্তিতে থাকতে পছন্দ করি।

এদিকে হটাৎ জানা যায় গত ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে দামুড়ঙ্গদা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে পালাতক প্রেমিক উজ্জাল ও প্রেমিকা সুরাইয়া আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা দামুড়হুদা মডেল থানায় গেলে ডিউটি অফিসার এস আই কার্তিক সাংবাদিকে বলেন এই বিষয়টি মিল্টন স্যার যানে। ওই সময় এস আই মিল্টন থানাতে না থাকায় বিষয়টি জানতে এস আই মিল্টন এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি। পরে আবারো বিকাল ৫ টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি তখনো ফোন রিসিভ করেনি। পরে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এস আই মিল্টন ফোন দিয়ে না ছিনান ভ্যান করে পরিচয় জানতে চাই বলেন কে বলছেন আপনি তখন বলেন আমি সাংবাদিক বলছি মুক্তাপুরের ঘটনাটি জানতে চাই তখন এস আই মিন্টন বলেন আপনার যা বলার থানায় এসে বলেন এই কথা বলে তিনি ফোনটি কেটে দেয়। পরে তিনি আর ফোন রিসিভ করেনি। নাম প্রকাশ অনিচছুক অনেকেই বলেন এস আই মিল্টন সবার সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। আবার অনেকেই বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাবঃ জাহিদুল ইসলাম স্যারকে বিষয়টি বলা দরকার মন্তব্য করেন উপজেলাবাসী।

তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিক উজ্জাল ও প্রেমিকা সুরাইয়া দামুড়হুদা মডেল থানায় আটক রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর