লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সাফিউল ইসলাম। ২০১৫ সালে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের নিজ গড্ডিমারী গ্রামের মৃত জফির উদ্দিনের মেয়ে শাপলা বেগমকে। সাফিউল পেশায় একজন দিনমজুর। তাদের সংসারে ছিল সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়ে জান্নাতুল আক্তার শাম্মী। এরই মধ্যে আবার গর্ভধারণ করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রসবজনিত কারণে ওই নারীকে রংপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিজারের মাধ্যমে ফুটফুটে তিনটি সন্তানের জন্ম দেন ভাগ্যবতী ওই নারী। তিনি একই সঙ্গে জন্ম দেন ২ ছেলে ও ১ মেয়ে। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে চলে আসেন তার নিজ বাড়িতে। বর্তমানে সন্তান ও মা উভয়ই সুস্থ রয়েছে। ৩ সন্তানের জনক।হওয়ায় সাফিউল ইসলাম মহাখুশি। এতে সঙ্গে সঙ্গে মেয়ে শিশুটির নাম রাখেন সিরাতুন জান্নাত সাথী। ছেলেদের মাওলানাকে দিয়ে ধার্মিক নাম রাখবেন বিধায় এখনো নাম রাখা হয়নি বলে জানান।পরিবারের লোকজন। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সময় যত বাড়ছে, ততই উৎসুক জনতার ভিড়ও দেখা যাচ্ছে তার বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা সুলতানা। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, তাদের সার্বিক
সহযোগিতা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। যাতে মা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন ও তিনটি শিশু স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠেন।