ক্রীড়া প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সদ্য শেষ হওয়া সপ্তম
আসরে দুর্দান্ত বোলিং করে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ২০ বছর বয়সী এ তরুণ ক্রিকেটার একটা সময়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট খেলতেন। শখের বসে ক্রিকেট খেলে জাতীয় তারকা হওয়ার পথে লক্ষ্মীপুরের এ ক্রিকেটার। আসন্ন পাকিস্তান সফরে অভিষেক হচ্ছে বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা হাসান মাহমুদের। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
(বিসিবি) থেকে ফোন করে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার খবর জানানো হয় হাসান মাহমুদকে। তার পর থেকেই তার পরিবারে যেন ঈদ উৎসব চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়ে তার ছবি ভাইরাল হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪২.৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে ১৩ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ। হাসান লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. ফারুক ও গৃহিণী মাহমুদা খাতুন রানীর ছোট ছেলে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন। ভবিষ্যতে সফলতা কামনা করে তার বাবা-মা লক্ষ্মীপুরসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
২০১২ সালের শেষদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রিকেট একাডেমিতে কোচ মনিরের সঙ্গে হাসানের পরিচয় হয়। মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে হাসানের ক্রিকেট খেলা
শুরু হয়েছে। বিকেএসপিতে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে তার বোলিংয়ে গতি বেড়ে যায়। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেন হাসান মাহমুদ। হাসানের বাবা ফারুক জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলায়
হাসানের আগ্রহ ছিল। কিছু কিছু সময় খেলার মাঠ থেকে সে পরীক্ষা দিতে যেত। মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে সে ক্রিকেট খেলত। আশা করছি সে ভালো বোলিং করে সে
দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবে। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত হাসান মাহমুদ
বলেন, বিপিএল শেষে লক্ষ্মীপুর এসেছি, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কয়েকদিন কাটিয়ে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। শনিবার দুপুরে বিসিবি থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে আমি জাতীয় দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছি। এতদিন জাতীয় দলে খেলার সুযোগের অপেক্ষা ছিলাম। সেটি পেয়েছি, মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।